বর্তমানে
মোবাইল ফোন এবং অন্যান্য ডিজিটাল ডিভাইস শিশুর জীবনের একটি অপরিহার্য অংশ হয়ে
উঠেছে। যদিও প্রযুক্তি ব্যবহারের অনেক উপকারিতা রয়েছে, তবে যখন এটি অতিরিক্ত
ব্যবহার করা হয়, তখন এটি শিশুর শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে মারাত্মক প্রভাব ফেলতে
পারে। শিশুদের মোবাইল আসক্তি দিন দিন বাড়ছে, যার ফলে তাদের শারীরিক বিকাশে বাধা
সৃষ্টি হচ্ছে এবং মানসিক সমস্যাও বাড়ছে।
মোবাইল
আসক্তির কারণে শিশুর শারীরিক ক্ষতি যেমন চোখের সমস্যা, কোমর ও ঘাড়ে ব্যথা,
অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি ইত্যাদি দেখা যায়। এক জায়গায় দীর্ঘ সময় মোবাইল ব্যবহার করার
ফলে শারীরিক কার্যক্রমে আগ্রহ কমে যায়, যা শারীরিক দুর্বলতার কারণ হতে পারে।
এছাড়া, মোবাইল স্ক্রীনের অতিরিক্ত ব্যবহার শিশুদের ঘুমের সমস্যা সৃষ্টি করে, যা
তাদের শারীরিক স্বাস্থ্যেও প্রভাব ফেলে।
এছাড়া,
মানসিক স্বাস্থ্যের ক্ষেত্রেও মোবাইল আসক্তি শিশুর জন্য বিপজ্জনক। অতিরিক্ত সময়
ধরে সোশ্যাল মিডিয়াতে ব্যস্ত থাকার কারণে শিশুদের মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা,
আত্মবিশ্বাসের অভাব ও সামাজিক বিচ্ছিন্নতার মতো সমস্যা তৈরি হয়। মোবাইল আসক্তি
শিশুর মনোযোগের অভাব এবং পড়াশোনার প্রতি আগ্রহের কমিয়ে দেয়, যার ফলে তাদের
একাডেমিক পারফরম্যান্সে অবনতি ঘটে।
এই
পরিস্থিতিতে পরিবারের ভূমিকা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিবারের সদস্যদের উচিত
শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে সময়সীমা নির্ধারণ করা এবং তাদের শারীরিক ও সামাজিক
কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা। পরিবার যদি সঠিক নিয়ম এবং পরিপূরক সহায়তা দেয়,
তবে শিশুদের মোবাইল আসক্তি কমানো সম্ভব।
📚 শিশুদের মোবাইল
আসক্তি: প্রাথমিক লক্ষণ কী?
শিশুদের
মোবাইল আসক্তির প্রাথমিক লক্ষণগুলো খুব সহজেই চিহ্নিত করা যায়। যখন শিশুদের একে
অপরের সঙ্গে খেলা বা শখের কাজের চেয়ে মোবাইলের প্রতি
আগ্রহ বেশি থাকে, তখন সেটি একটি বড় সংকেত। এছাড়া, শিশুদের মধ্যে মনোযোগের অভাব এবং
ঘুমের সমস্যা দেখা দেয়। মোবাইল আসক্তির কারণে তারা নিজের স্বাভাবিক রুটিন থেকে
বিচ্যুত হয়ে পড়তে পারে। অতিরিক্ত স্ক্রীন টাইম শিশুদের দৈনন্দিন কার্যক্রমে
ব্যাঘাত সৃষ্টি করে, যার ফলে পড়াশোনা ও শারীরিক
স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
🔰 খেলা বা শখের আগ্রহ কমে মোবাইলের প্রতি অতিরিক্ত আগ্রহ।
🔰 মনোযোগের অভাব এবং স্ক্রীন টাইমের ফলে পড়াশোনায় ব্যাঘাত।
🔰 ঘুমের সমস্যা এবং শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে অবহেলা।
🔰 সামাজিক বিচ্ছিন্নতা এবং একাকীত্ব।
📚মোবাইল আসক্তি, শিশুর মানসিক স্বাস্থ্য হুমকির মুখে
মোবাইল
আসক্তি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে মারাত্মকভাবে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত
স্ক্রীন টাইমের কারণে শিশুর মধ্যে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, এবং মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
এর ফলে, শিশুর মধ্যে আক্রমণাত্মক আচরণ বৃদ্ধি পায় এবং
তারা আরও বেশি অস্থির হয়ে পড়ে। বিশেষত, স্যোশাল মিডিয়ার প্রভাব শিশুর মানসিক
স্বাস্থ্যকে আরও সংকটগ্রস্ত করে তুলতে পারে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে, মোবাইল
আসক্তির কারণে শিশুর মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব ও সামাজিক সম্পর্কের সংকটও দেখা
দিতে পারে।
🏡 উদ্বেগ, বিষণ্নতা এবং আক্রমণাত্মক
আচরণের বৃদ্ধি।
🏡 মনোযোগের অভাব এবং সামাজিক দক্ষতার হ্রাস।
🏡 মানসিক অস্থিরতা এবং নিজেকে অপর্যাপ্ত মনে করা।
🏡 স্যোশাল মিডিয়ার প্রভাব এবং মানসিক চাপ বৃদ্ধি।
📚শিশুর শারীরিক ক্ষতি:মোবাইল আসক্তির জন্য দায়ী কি?
শিশুদের
মোবাইল আসক্তির ফলে শারীরিক স্বাস্থ্যও ক্ষতিগ্রস্ত হতে
পারে। মোবাইল স্ক্রীন দীর্ঘ সময় দেখার ফলে শিশুর চোখে সমস্যা সৃষ্টি হয়, যেমন
চোখের জ্বালা ও ঝাপসা দেখা। এর পাশাপাশি, কোমর ও ঘাড়ের ব্যথা দেখা যায়, কারণ শিশু
দীর্ঘ সময় এক স্থানে বসে থাকে। শিশুদের মধ্যে শারীরিক কার্যক্রমের অভাব হয়ে যায়, যার ফলে অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি পেতে পারে। মোবাইল আসক্তি
শারীরিক বিকাশের জন্য একটি বড় বাধা সৃষ্টি করে।
🍁চোখের সমস্যা এবং দৃষ্টির দুর্বলতা।
🍁 কোমর ও ঘাড়ে ব্যথা, শরীরের ক্ষতিগ্রস্ততা।
🍁 অতিরিক্ত ওজন বৃদ্ধি এবং শারীরিক দুর্বলতা।
🍁 শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভাব।
📚পরিবারের দায়িত্ব:শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে কী নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা উচিত?
শিশুদের
মোবাইল ব্যবহারে অভিভাবকদের যথাযথ নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা অত্যন্ত জরুরি। বিশ্ব
স্বাস্থ্য সংস্থা পরামর্শ দিয়েছে, ২ বছর পর্যন্ত শিশুদের স্ক্রীন টাইম ১ ঘণ্টার বেশি হওয়া উচিত নয়। অভিভাবকদের উচিত শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের
জন্য সময়সীমা নির্ধারণ করা। শিশুদের ব্যবহৃত ডিভাইসের প্রতি মনোযোগী হতে হবে এবং
তাদেরকে নিয়মিত শারীরিক কার্যক্রমে উৎসাহিত করতে হবে। পরিবারের সক্রিয় অংশগ্রহণ
শিশুদের ডিজিটাল ডিভাইসের ব্যবহার সঠিকভাবে পরিচালনা
করতে সাহায্য করে।
📱মোবাইল ব্যবহারের সময়সীমা নির্ধারণ।
📱 শারীরিক কার্যক্রমে উৎসাহিত করা।
📱 পরিবারের অংশগ্রহণ এবং সচেতনতা বৃদ্ধি।
📚মোবাইল আসক্তি ও শিশুদেরশিক্ষা: পারিবারিক অবহেলা কি প্রভাব ফেলছে?
মোবাইল
আসক্তির ফলে শিশুদের একাডেমিক পারফরম্যান্সে ক্ষতি হতে
পারে। অতিরিক্ত স্ক্রীন টাইম তাদের পড়াশোনায় মনোযোগ কেন্দ্রীভূত করার ক্ষমতা কমিয়ে
দেয়। অনেক ক্ষেত্রে, পিতামাতার অবহেলা এবং অভ্যন্তরীণ নিয়ন্ত্রণের অভাব শিশুর
শেখার পরিবেশকে ক্ষতিগ্রস্ত করে। শিশুরা যদি নিয়মিত মোবাইল ব্যবহার করে, তাহলে তারা লেখাপড়ায় আগ্রহ হারিয়ে ফেলে এবং তাদের একাডেমিক
পারফরম্যান্স দুর্বল হয়ে পড়ে। এর ফলে, স্কুলের ফলাফল এবং ভবিষ্যত ক্যারিয়ারে
প্রভাব পড়ে।
🎌 একাডেমিক পারফরম্যান্সের ক্ষতি।
🎌 পিতামাতার অবহেলা ও নিয়ন্ত্রণের অভাব।
🎌 মোবাইল ব্যবহারের প্রভাব পড়াশোনায়।
📚 শিশু মোবাইল আসক্তি:পরিবারের গুরুত্ব এবং সচেতনতার প্রয়োজনীয়তা
পরিবারের
সচেতনতা শিশুর মোবাইল আসক্তি কমানোর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। যখন পিতামাতা
শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সময় সীমাবদ্ধ করেন, তখন তাদের শারীরিক ও মানসিক উন্নতির
জন্য সঠিক পরিবেশ তৈরি হয়। পরিবারের সদস্যদের জন্যও
ডিজিটাল আচরণে সচেতন হওয়া প্রয়োজন, যাতে শিশুরা তাদের রোল মডেল হিসেবে সেটি অনুসরণ
করতে পারে। শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের পরিমাণ কমানো এবং তাদের সৃজনশীল কার্যক্রমে
উৎসাহিত করা দরকার।
👪 সঠিক পরিবেশ তৈরি এবং সময়সীমা
নির্ধারণ।
👪 সৃজনশীল কার্যক্রমে উৎসাহিত করা।
👪 রোল মডেল হিসেবে পরিবারের ভূমিকা।
📚 মোবাইল আসক্তি থেকেশিশুদের রক্ষা করতে পরিবারের কী ভূমিকা?
মোবাইল
আসক্তি থেকে শিশুদের রক্ষা করতে পরিবারের সক্রিয় ভূমিকা নিতে হবে। পরিবার শিশুকে
অন্যান্য শখে যেমন খেলাধুলা, আঁকা, গান শেখা ইত্যাদিতে
উৎসাহিত করতে পারে। পাশাপাশি, শিশুদের জন্য কিছু সময়ের জন্য ডিজিটাল ডিটক্সও প্রয়োজন, যাতে তাদের মনোযোগ পুনরুদ্ধার হয়। পরিবারের
সদস্যদের উচিত একসঙ্গে সময় কাটানো, যাতে শিশুরা মোবাইল ছাড়া অন্যান্য কার্যক্রমে
অংশগ্রহণ করতে পারে।
💥শখ ও শারীরিক কার্যক্রমে উৎসাহিত
করা।
💥ডিজিটাল ডিটক্স এবং পরিবারিক সময়।
💥শিশুদের সৃজনশীলতা এবং সামাজিক দক্ষতা বাড়ানো।
💥মোবাইলের পাশাপাশি অফলাইন কার্যক্রমে উৎসাহ প্রদান।
📚 মোবাইল আসক্তি,শিশুর সামাজিক দক্ষতা
কমে যাচ্ছে: পরিবার কি দায়ী?
মোবাইল
আসক্তি শিশুর সামাজিক দক্ষতাকে প্রভাবিত করতে পারে। অতিরিক্ত মোবাইল ব্যবহারের
কারণে শিশুরা তার সহপাঠী বা বন্ধুদের সাথে সম্পর্ক তৈরি করতে পারে না। শিশুদের
মধ্যে সোশ্যাল স্কিলস হ্রাস পায়, এবং তাদের
কমিউনিকেশন স্কিলস দুর্বল হয়ে পড়ে। শিশুরা মোবাইলের মাধ্যমে অনেক সময় আনলাইনে বন্ধুত্ব করতে আগ্রহী হয়, কিন্তু বাস্তবে এটি তাদের সম্পর্ক তৈরি করার
ক্ষমতা কমিয়ে দেয়।
💧সোশ্যাল স্কিলসের হ্রাস এবং সম্পর্কের দুর্বলতা।
💧অনলাইনে সম্পর্ক গড়ে ওঠা, অফলাইনে দুর্বলতা।
💧সামাজিক দক্ষতা উন্নত করতে পরিবারের ভূমিকা।
📚 মোবাইল আসক্তি: শিশুরশারীরিক বিকাশে বিরূপ প্রভাব এবং পরিবারের দায়িত্ব
মোবাইল
আসক্তি শিশুর শারীরিক বিকাশে বড় বাধা সৃষ্টি করে। স্ক্রীনে দীর্ঘ সময় কাটানোর ফলে,
শিশুর পেশী এবং হাড়ের গঠন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। শিশুর
শারীরিক বিকাশের জন্য প্রয়োজনীয় অভ্যন্তরীণ শক্তি এবং অতিরিক্ত ক্যালোরি খাওয়া মোবাইল আসক্তির কারণে বাধাগ্রস্ত হতে পারে। পরিবার যদি শিশুর
জন্য সঠিক শারীরিক কার্যক্রম নিশ্চিত না করে, তবে শিশুর শারীরিক স্বাস্থ্য বিপদে
পড়ে।
💚হাড়ের গঠন ও পেশী শক্তির দুর্বলতা।
💚অতিরিক্ত ক্যালোরি গ্রহণের ফলে ওজন বৃদ্ধি।
💚শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণের অভাব।
📚 শিশুদের মোবাইল আসক্তি:পরিবারের দায়বদ্ধতা এবং সমাধান পদ্ধতি
শিশুদের
মোবাইল আসক্তি নিয়ন্ত্রণে পরিবারের দায়িত্ব অপরিসীম। পরিবার যদি সক্রিয়ভাবে শিশুর
মোবাইল ব্যবহার পর্যবেক্ষণ এবং সীমাবদ্ধ করে, তবে এটি শিশুর শারীরিক, মানসিক ও
সামাজিক উন্নতি নিশ্চিত করতে সহায়ক হবে। কিছু বিশেষজ্ঞের মতে, শিশুদের মোবাইল
ব্যবহারের জন্য স্বাস্থ্যকর রুটিন তৈরি করা উচিত এবং তাদের সৃজনশীল কার্যক্রমে উৎসাহিত করা প্রয়োজন। পরিবারের সদস্যরা যদি রোল মডেল হিসেবে কাজ করেন, তবে শিশুরা তাদের দেখেই শিখবে।
🔱মোবাইল ব্যবহারের সময় সীমাবদ্ধ করা।
🔱স্বাস্থ্যকর রুটিন এবং সৃজনশীল কার্যক্রমে উৎসাহ।
🔱পরিবারে সচেতনতা বৃদ্ধি এবং সঠিক পদক্ষেপ নেওয়া।
শিশুর
মোবাইল আসক্তি একটি গুরুতর সমস্যা, যা তাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে বিপদে
ফেলতে পারে। অতিরিক্ত স্ক্রীন টাইমের কারণে শিশুর দৃষ্টিশক্তি, শারীরিক বিকাশ, এবং
মনোযোগের অভাব ঘটাতে পারে, যার প্রভাব তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সেও পড়ে। এছাড়া,
সামাজিক সম্পর্ক ও মানসিক স্বাস্থ্যেও নেতিবাচক পরিবর্তন আসতে পারে। এই সমস্যার
জন্য পরিবারই মূলত দায়ী, কারণ তারা যদি শিশুদের মোবাইল ব্যবহারে নিয়ন্ত্রণ আরোপ না
করে এবং সঠিকভাবে সঙ্গতিপূর্ণ সময় প্রদান না করে, তবে সমস্যাটি আরও বাড়তে
পারে।তবে, সঠিক পদক্ষেপ গ্রহণের মাধ্যমে পরিবারের সদস্যরা শিশুদের মোবাইল আসক্তি
কমাতে সাহায্য করতে পারে। স্ক্রীন টাইমের
সীমাবদ্ধতা, শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ এবং পারিবারিক সম্পর্কের উন্নতির মাধ্যমে
শিশুদের আরও স্বাস্থ্যকর এবং সুষম জীবনযাপন নিশ্চিত করা সম্ভব। প্রযুক্তির ব্যবহার
একদিকে যেমন অপরিহার্য, তেমনি এর সঠিক নিয়ন্ত্রণ শিশুর ভবিষ্যতের জন্য অত্যন্ত
গুরুত্বপূর্ণ।
👫মোবাইল আসক্তি কি?
মোবাইল আসক্তি একটি
মানসিক অবস্থা যেখানে ব্যক্তি বা শিশু অতিরিক্ত সময় মোবাইল ফোনে নিযুক্ত থাকে, যা
তাদের দৈনন্দিন জীবনযাপন, শারীরিক স্বাস্থ্য, এবং মানসিক স্বাস্থ্যের উপর নেতিবাচক
প্রভাব ফেলে।
👫মোবাইল আসক্তির কারণ
মোবাইল আসক্তির মূল
কারণগুলির মধ্যে সোশ্যাল মিডিয়া, ভিডিও গেম, ইন্টারনেট ব্যবহার এবং সাক্ষাৎকারের
অভাব অন্তর্ভুক্ত। এছাড়া, অতিরিক্ত একাকীত্ব, উদ্বেগ, এবং
মনোরঞ্জনের জন্য মোবাইল ব্যবহারও আসক্তির কারণ হতে পারে।
👫মোবাইল আসক্তির ফলে শিশুর শারীরিক ক্ষতি কি হতে পারে?
মোবাইল আসক্তি শিশুর চোখের
সমস্যা (যেমন চোখে জ্বালা ও ঝাপসা), কোমর
ও ঘাড়ের ব্যথা, এবং অতিরিক্ত
ওজন সৃষ্টি করতে পারে। এছাড়া, শিশুর শারীরিক কার্যক্রমে অনীহা ও
পেশীর দুর্বলতা দেখা দেয়।
👫শিশুদের মোবাইল আসক্তি কিভাবে চিহ্নিত করবেন?
শিশুর মধ্যে অতিরিক্ত
মোবাইল ব্যবহার, খেলার বা পড়াশোনার আগ্রহ হারানো, সামাজিক সম্পর্ক থেকে বিচ্ছিন্ন
থাকা, এবং ঘুমের সমস্যার সৃষ্টি হলে, তা মোবাইল আসক্তির লক্ষণ হতে পারে।
👫মোবাইল আসক্তি কি শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যে প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, মোবাইল আসক্তি
শিশুর মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। এতে উদ্বেগ, বিষণ্নতা, আক্রমণাত্মক আচরণ,
এবং সামাজিক বিচ্ছিন্নতা সৃষ্টি হতে পারে।
👫শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের সঠিক সময় কতটুকু হওয়া উচিত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
অনুযায়ী, ২-৫ বছর বয়সী শিশুদের জন্য ১ ঘণ্টা
এবং ৫ বছর বা তার বেশি বয়সী শিশুদের জন্য ২ ঘণ্টার মধ্যে
স্ক্রীন টাইম রাখার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
👫মোবাইল আসক্তি কি শিশুর একাডেমিক পারফরম্যান্সে প্রভাব ফেলে?
হ্যাঁ, মোবাইল আসক্তি
শিশুদের মনোযোগের অভাব এবং পড়াশোনায়
আগ্রহের হ্রাস ঘটাতে পারে, যা তাদের একাডেমিক পারফরম্যান্সকে
ক্ষতিগ্রস্ত করে।
👫মোবাইল আসক্তি কমানোর জন্য পরিবার কীভাবে সাহায্য করতে পারে?
পরিবার শিশুর স্ক্রীন
টাইম সীমিত করতে সাহায্য করতে পারে, শারীরিক কার্যক্রমে উৎসাহিত
করতে পারে, এবং অন্য উপযুক্ত বিনোদনমূলক কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করাতে পারে।
👫শিশুদের মোবাইল ব্যবহারের জন্য কোন বয়স উপযুক্ত?
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা
মতে, ২ বছরের
নিচে শিশুর জন্য মোবাইল ব্যবহার একেবারে এড়িয়ে চলা উচিত। ২-৫
বছর বয়সী শিশুর জন্য সীমিত সময় মোবাইল ব্যবহারের পরামর্শ দেওয়া
হয়।
👫মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর মধ্যে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা কেন সৃষ্টি হয়?
অতিরিক্ত মোবাইল
ব্যবহারের কারণে শিশুর মধ্যে সামাজিক ইন্টারঅ্যাকশন
হ্রাস পায়, তারা নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ না রেখে অনলাইনে ব্যস্ত হয়ে পড়ে, ফলে তাদের
মধ্যে বিচ্ছিন্নতা তৈরি হয়।
👫পরিবারের দায়িত্ব কি শিশুর মোবাইল ব্যবহারের উপর নিয়ন্ত্রণ আরোপ করা?
হ্যাঁ, পরিবারকে শিশুর
মোবাইল ব্যবহারে সঠিক নিয়ন্ত্রণ আরোপ করতে হবে। শিশুর স্ক্রীন টাইম নির্ধারণ করা এবং তাদের
অন্যান্য কার্যক্রমে অংশগ্রহণে উৎসাহিত করা পরিবারকের দায়িত্ব।
👫মোবাইল আসক্তি কি শিশুর শারীরিক বিকাশে বাধা সৃষ্টি করে?
হ্যাঁ, মোবাইল আসক্তি
শিশুদের শারীরিক কার্যক্রমে অংশগ্রহণে বাধা দেয়, ফলে তাদের শারীরিক বিকাশ এবং পেশী
শক্তি কমে যায়।
👫মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুদের ঘুমের সমস্যা কেন হয়?
মোবাইল স্ক্রীনে
অতিরিক্ত সময় কাটানো নিদ্রাহীনতা সৃষ্টি করে, কারণ
স্ক্রীনের নীল আলো ঘুমের হরমোনের উৎপাদনকে বাধা দেয়, যার ফলে শিশুদের ঘুমের সমস্যা
হয়।
👫শিশুদের স্ক্রীন টাইম সীমিত করার জন্য কি পদক্ষেপ নেওয়া উচিত?
পরিবারকে শিশুদের জন্য
একটি ডিজিটাল রুটিন
তৈরি করতে হবে, যাতে তারা পড়াশোনা, খেলা, এবং সামাজিক কার্যক্রমের জন্য পর্যাপ্ত
সময় পায়। এছাড়া, মনের চাপ কমানোর জন্য ডিজিটাল
ডিটক্স প্রয়োগ করা যেতে পারে।
👫মোবাইল আসক্তির কারণে শিশুর আত্মবিশ্বাসের উপর কী প্রভাব পড়ে?
মোবাইল আসক্তি শিশুর
মধ্যে আত্মবিশ্বাসের অভাব সৃষ্টি করতে পারে, কারণ তারা অনলাইন প্ল্যাটফর্মে
সেলফি বা পাবলিক ইমেজ নিয়ে চিন্তা করতে শুরু
করে, যা তাদের মানসিক অবস্থাকে খারাপ করতে পারে।
কোন মন্তব্য নেই:
একটি মন্তব্য পোস্ট করুন